পুণ্যভূমি ডেস্ক
ডিসেম্বর / ০৩ / ২০২২
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘১০ তারিখের সমাবেশ নিয়ে সরকারের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। সেদিন নাকি তারা উড়ে যাবে। জনগণের প্রতি তাদের আস্থা নেই। চোরের মন পুলিশ পুলিশ। নয়াপল্টনে এর আগে অনেক সমাবেশ করেছি, তখন তো সমস্যা হয়নি। এখন কেন এত সমস্যা?’
শনিবার বিকালে রাজশাহীর হাজী মুহম্মদ মহসীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে (মাদ্রাসা মাঠ) বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, ‘এত পেটাই, এত মামলা দেই, তারপরও বিএনপি উঠে আসে কোত্থেকে? বিএনপি মাটি ফুঁড়ে বেরিয়ে আসে। এটাই বিএনপি। এজন্য ভয় পেয়েছে। আমরা বলেছি, ১০ তারিখে পার্টি অফিসের সামনে সমাবেশটা করতে চাই। ওদের ঘুম নাই। ঘুম হারাম হয়ে গেছে। নিজের ওপর আস্থা নেই বলে ভয় পায়। এই গেল, এই গেল ভাবতে থাকে। বিএনপি এলো, বিএনপি এলো ভাবতে থাকে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা নয়াপল্টনে অনেক সমাবেশ করেছি। লাখ লাখ মানুষ হয়েছে। ওই দিন তো কোনো সমস্যা হয়নি। আজকে হঠাৎ আপনাদের মাথায় সমস্যা আসছে কেন? কারণ আপনারা জানেন অনেক কাজ করেছেন।’
সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, গত তিন দিন ধরে পদ্মার ঠাণ্ডা বাতাস গায়ে হু হু করে লেগেছে। তারপরও আপনারা এখান থেকে একবিন্দুও সরেননি। খেয়ে না খেয়ে, কিসের ভালোবাসায়, কিসের তাগিদে আপনারা তিন দিন ধরে এখানে কাটালেন? একটি মাত্র কারণ, আপনারা মুক্তি চান। ‘ভয়াবহ দানবের’ হাত থেকে আপনারা মুক্তি চান।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের শাসনামলে ৬০০ নেতাকর্মী গুম হয়ে গেছে। এর মধ্যে পাবনার ঈশ্বরদীতে জাকারিয়া পিন্টুসহ ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। ২৫ জনকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছে। এটাই এই সরকারের চরিত্র। এভাবে তারা বিরোধী দলকে নির্মূল করে দিতে চায়। এতে কি নির্মূল হয়েছে? রাজশাহীর মানুষ ভয় পেয়েছে? পায়নি। আরও উত্তালে জেগে ওঠেছে। এ লড়াইয়ে আমাদের জয়ী হতেই হবে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আর কোনো রাজনৈতিক দল নেই। এটা একটা লুটেরা দলে পরিণত হয়েছে। নিজেরা লুট করে সম্পদের পাহাড় করেছে, সাধারণ মানুষকে গরিব করছে। কয়দিন আগে ২৫ জন কৃষককে ২৫ হাজার টাকা ঋণ নেওয়ার জন্য তাদের জেলখানায় নেওয়া হয়েছিল। আর হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে ব্যাংক খালি করে দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা হয় না।