আবু তালেব মুরাদ
এপ্রিল / ২৬ / ২০২৩
আবু তালেব মুরাদ: সিলেট সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন ১১ ও ১২ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত কুয়ারপার এলাকার রাস্তা সম্প্রসারণ করে নালা নির্মাণ কাজ শুরু হয় গত ১০ নভেম্বর বুধবার ২০২১ এ। এর আগে একই বছর সেপ্টেম্বর মাসে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী কুয়ারপার এলাকাবাসীকে নিয়ে রাস্তা প্রশস্তিকরণ নিয়ে কয়েক দফা বৈঠক করেন। বৈঠকে তিনি বলেন আপনারা নিজের জায়গা সহ অনুমতি দিলে আমরা অচিরেই রাস্তার কাজ শুরু করব। এবং তা আগামী ৬ মাস অর্থাৎ শীত মৌসুমেই শেষ করব। এলাকাবাসী এ কাজে সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। মেয়র বলেন রাস্তা সৌন্দর্য্যবর্দনের জন্য সিসিক থেকে আমরা অনেক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।
এবং কাজও শুরু হয় শীত মৌসুমের শুরুতে অর্থাৎ নভেম্বর ২০২১ এ।
কিন্তু উক্ত কাজের দীর্ঘ দেড় বছর হতে চলেছে, এই সময়টাতে কুয়ারপার এর উক্ত রাস্তা দিয়ে অনেক দুর্ভোগ পোহানো, ট্রাফিক জ্যাম সহ দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছেন অনেকেই। বিশেষ করে স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের এই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বেশী।
এলাকার জনগণের আক্ষেপ কুয়ারপার এলাকার মানুষের দুর্ভোগ নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের কোন মাথা ব্যাথা নাই এবং এলাকাবাসী সিটি কর্পোরেশনের কাছে অবহেলার পাত্র মাত্র।
এ ব্যাপারে জানার জন্য সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর কে বহুবার মুঠোফোনে চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি, কুয়ারপার বাসী আক্ষেপ করে বলেন মেয়র সাহেবের মিঠা কথায় আমরা নিজের জায়গা দিয়ে কাজ করার সুযোগ দিলাম কিন্তু তিনি এখন আমাদের অবস্থা দেখতেও আসেন না। তিনি কাজ শুরুর আগে আমাদের যে আশার বানী শুনিয়েছিলেন আমরা বাস্তবে তার মিল খুঁজে পাচ্ছিনা।কুয়ারপার এর রাস্তা প্রশস্তি করনের কাজ নিয়ে আমাদের দুর্ভোগে ফেলে তিনি আমাদের সাথে এক গুরুতর অন্যায় কাজ করলেন।
এ প্রসঙ্গে বুধবার সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবর এর কাছে প্রতিবেদক জানতে চান কাজ বন্ধের কারণ এবং সিসিকের দায়সারা ভাব কেন? নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন বিস্তারিত খবর নিয়ে তিনি কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রতিবেদককে জানাবেন পরবর্তীতে আর জানার সুযোগ হয়নি। উক্ত কাজের ঠিকাদার কোম্পানি এস এম কনস্ট্রাকশন এর শহীদ চৌধুরী ,তার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এখানে উল্লেখ্য রাস্তার পাশে ড্রেনের মাটি তুলে রাখার কারণে গত রমজান মাসে ট্রাফিক জ্যামের জন্য প্রায়শই ভুক্তভোগী একে অন্যের সাথে কথা কাটাকাটি এমনকি হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে। ১১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রকিবুল ইসলাম ঝলক কে রমজান মাসে প্রতিবেদক কয়েক দফা অভিযোগ করার পরও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জনৈক একজন জানান এই এলাকার কিছু কিছু চামচা আছে যারা সিসিকের প্রকৌশলী এবং কাজের সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগসাজসে কয়েকটি বিল্ডিং এবং বাসা বাড়ির মালিকের কাছ থেকে অর্থের বিনিময়ে তা বহাল রেখে ড্রেনের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।তা যে কেউ কুয়ারপার গলির ভেতর ঢুকলেই তা অনুধাবন করতে পারবেন।
কিছুদিন আগে এ ব্যাপারে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে অবগত করা হলে গত নভেম্বর ২০২২ এ তা সরজমিনে দেখে তার সত্যতা প্রমাণ পান তিনি এবং বলেন কুয়ারপার পয়েন্ট থেকে ভেতরের পয়েন্ট পর্যন্ত কাজের যে ত্রুটি হয়েছে তা সমাধান করা হবে কিন্তু যেই লাউ সেই কদু এখন পর্যন্ত কাজের কাজ কিছুই হয় নাই।
এলাকাবাসী অনেকের অভিমত সিলেট সিটি কর্পোরেশন আমাদেরকে পাত্তাই দিচ্ছেনা সুতরাং এখন আমাদের স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ে শরণাপম্ন হওয়া ছাড়া আর গতি নাই।