নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনের
ফল বাতিল চেয়ে অ্যাডভোকেট খায়রুল কবির রুমেনের দায়ের করা মামলায় বিবাধীদের
সমনজারি করেছে আদালত।
মামলায়
বিবাদী করা হয় চারজনকে। তারা হলেন,জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান
নুরুল হুদা মুকুট, সুনামগঞ্জ জেলা রিটার্নিং অফিসার, জগন্নাথপুর উপজেলা
প্রিসাইডিং অফিসার এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব।
নির্বাচনী
ট্রাইব্যুনাল সুনামগঞ্জের যুগ্ম জেলা জজ আদালতের বিচারক কাকন দে
বুধবার(৩০,নভেম্বর) দুপুরে মামলাটি গ্রহণ করে চার বিবাদীর বিরুদ্ধে সমন
জারি করেছেন। এর পূর্বে নির্বাচনী গেজেট প্রকাশের এক মাসের মধ্যে গত ২৩
নভেম্বর ট্রাইব্যুনালে এই মামলা দায়ের করেছিলেন রুমেন।
তিনি জেলা আ,লীগের সহসভাপতি ও সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী ছিলেন।
মামলায়
বাদী উল্লেখ করেছেন,বিগত মেয়াদে মামলার বাদী নুরুল হুদা মুকুট জেলা
পরিষদের চেয়ারম্যান থাকায় অন্য বিবাদীদের সঙ্গে তার সখ্য ছিল। গেল ১৭
অক্টোবর ভোটের দিন জগন্নাথপুর কেন্দ্রের ব্যালট পেপার অতি গোপনে হেরফের করে
মনগড়া মতে আট ভোট বেশি দেখিয়ে নুরুল হুদা মুকুটকে ৬১২ ভোটে বিজয়ী ঘোষণা
করা হয়েছে। তাই জগন্নাথপুর ভোট কেন্দ্রের ভোট পুনঃগণনার দাবি করেন বাদী
খায়রুল কবির রুমেন। ওই ভোটে পুনঃগণনা হলে তিনিই(রুমেন)বিজয়ী হবেন বলেও দাবি
করেন তিনি।
জেলা পরিষদ
চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুটের আইনজীবী অ্যাড. আজাদুল ইসলাম রতন বলেন,
নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করারপর শুনানির দিনে আদালত মামলাটি
গ্রহণ করে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ চারজনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন। তিনি
আরও বললেন, জেলা পরিষদ ভোট হয়েছে ইভিএমএ ভোটগ্রহণের গ্রহণযোগ্যতা
পৃথিবীব্যাপী স্বীকৃত।
নির্বাচনে
হেরে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় তারা এসব করছে বলে জানান,সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ
চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট। তিনি আরও বলেন,পরাজিত প্রার্থী আমাকে
নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে ও নির্বাচন বানচাল করতে চারবার মামলা দায়ের করলেও
সব মামলাই রিজেক্ট হয়েছে।
জেলা
আ,লীগের সহসভাপতি ও সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সমর্থিত
প্রার্থী মামলার বাদী অ্যাডভোকেট খায়রুল কবির রুমেন বলেন,সঠিকভাবে
নির্বাচনের ফলাফল যাচাই করলে আমি বিজয়ী। প্রমানিত হবে আমাকে পরাজিত করানো
হয়েছে।